সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল এ বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয়, ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা : চিফ প্রসিকিউটর দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় : খন্দকার মোশাররফ জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাজেট ২০২৫-২৬ : যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে ‘ককটেল সদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণ ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা জুলাই গণহত্যা : ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ভারতে ভয়াবহ দুর্যোগ: প্রাণ গেল ৩০ জনের বরিশালে জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই ফয়েজ ইসা

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্বদেশ ডেস্ক:

পাকিস্তানে ২৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কাজি ফয়েজ ইসা। আইন নিয়ে ৪৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই বিচারপতি গত তিন বছর কোনো সাংবিধানিক মামলা পরিচালনা করেননি।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবিধান, আইন, ইসলাম ও পরিবেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ লিখেছেন তিনি। ম্যাস মিডিয়া ল অ্যান্ড রেগুলেশনস ইন পাকিস্তান নামে একটি বইয়ের সহলেখক তিনি। ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তবে গত পাঁচমাস শুধুমাত্র চেম্বারেই কাজ করেছেন কাজি ইসা। প্রধান বিচারপতির বিতর্কিত ক্ষমতার প্রতিবাদ জানিয়ে কোনো মামলায় অংশ নেননি তিনি।

১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর কোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন কাজি ফায়েজ ইসা। তার বাবা কাজি মোহাম্মদ ইসা পাকিস্তান আন্দোলনের একজন বিখ্যাত নেতা এবং মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার মা বেগম সাইদা ঈসা একজন সমাজকর্মী ছিলেন এবং শিক্ষা, শিশু ও নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করে এমন হাসপাতাল ও অন্যান্য দাতব্য সংস্থার বোর্ডে সম্মানসূচক পদে কাজও করেছিলেন তিনি।

কোয়েটাতে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে করাচি গ্রামার স্কুল থেকে ও এবং এ লেভেল সম্পন্ন করেন কাজি ইসা। এরপর তিনি লন্ডনে আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১০৮৫ সালেল ৩০ জানুয়ারি বেলুচিস্তান হাইকোর্টে যোগ দেন ইসা। ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির পর পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে তিনি কোনো মামলায় অংশ নেননি।

২০০৮ সালে বেলুচিস্তানের সব বিচারক পদত্যাগ করলে সরাসরি প্রাদেশিক হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ইসাকে। সুপ্রিম কোর্ট ও বেলুচিস্তান হাইকোর্টে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার আগে ২৭ বছর তিনি আইন নিয়েই কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালেও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ